বাউফলে শ্রেনী কক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটালেন সভাপতি

বাউফলে শ্রেনী কক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটালেন সভাপতি

মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর বাউফলে বগা ইউনিয়নের সাবুপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে নিয়মিত না আসার অভিযোগ তুলে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পেটালেন ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জালাল উদ্দিন মৃধা। এ ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত রোববার বিকেল আড়াইটার দিকে ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন মৃধা শ্রেণি কক্ষে ঢুকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চুল ধরে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। কিছু শিক্ষার্থী ভয়ে দৌড়ে ছাদে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়েও তাদেরকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমটিরি সভাপতি জালাল উদ্দিন শিক্ষার্থীদের মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। ঠিকভাবে পাঠদান করান না। এরপর ক্লাসে না গিয়ে তারা অলস সময় কাটান। এ বিষয়ে একাধিকবার শিক্ষকদের বললেও শিক্ষকরা তাঁর কোনো কথা শুনছেন না।’ এই ক্ষোভের কারনেই তিনি শিক্ষার্থীদের মেরেছেন বলে দাবী করনে। অবশ্য সভাপতির এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার সন্তান কোনো অন্যায় করলে শিক্ষকরা বিচার করতে পারেন কিন্তু উনি মারার কে? এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে তিনি তাঁর সন্তানকে এই বিদ্যালয়ে আর পাঠাবেন না।
আরেক অভিভাবক বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়া সভাপতি মারধর করার কারণে তাঁর মেয়ে ভয় পেয়েছেন। এ কারণে তাঁর মেয়ে বিদ্যালয়ে আসতে চাইছে না।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবির্তী রানী পাল শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল হক বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন এবং ‘সভাপতি শিক্ষার্থীদের মারধর বিষয়টি ওই সভাপতি স্বীকার করেছেন। শিক্ষকরা ঠিকভাবে পাঠদান না করানোর কারনেই নাকি ক্ষোভের কারনে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বলেন, শিক্ষকরা ঠিকভাবে পাঠদান না করালে তিনি আমাকে বলতে পারতেন। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই তিনি শিক্ষার্থীদের পেটাতে পারেন না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।